খাদ্যের প্রকারভেদ (Types of Food) :
খাদ্য প্রধানত তিন প্রকারের,যথা ----
কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা
প্রোটিন বা আমিষ
ফ্যাট বা স্নেহপদার্থ
↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕↕
কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা (Carbohydrate) :
কার্বন,হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের সাহায্যে গঠিত তাপ শক্তি উৎপাদনে সহায়ককারী যে জৈব যৌগে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন ২:১ অনুপাতে থাকে,তাকে Carbohydrate বলে।
উৎস (Source)
উদ্ভিজ্জ উৎস প্রাণীজ উৎস
- চাল দুধ
- গম দুগ্ধ শর্করা
- ভুট্টা পাঁঠার যকৃতে
- বাজরা
- ডাল
- আলু
- কচু
- বিট
- গাজর
- খেজুর
- আঙুর
- আপেল
- বেল
- তরমুজ
- থোর
- চিনি
- গুড়
- মিছরি
ইত্যাদিতে এটি পাওয়া যায় ।
পুষ্টিগত গুরুত্ব (Importance in nutrition)
- শর্করা দেহে কৰ্মক্ষমতা বৃদ্ধি ও তাপশক্তি উৎপাদন করে। 1 g শর্করা দহনে 4.0 kcal তাপশক্তি উৎপাদন হয়।
- সেলুলোজ জাতীয় খাদ্য কোষ্টবদ্ধতা দূর করে।
- গ্লাইকোজেন যকৃৎ পেশিকোশে সঞ্চিত থাকে।রক্তে গ্লুকোজের পরিমান হ্রাস পেলে গ্লাইকোজেন গ্লুকোজে রূপান্তরিত হয়ে রক্তে গ্লুকোজের পরিমান নিয়ন্ত্ৰণ রাখে।
↣↣↣↣↣↣↣↣↣↣↣↣↣↣↣↣↣↣↣↣↣↣↣↣↣↣↣↣↣↣↣↣↣↣↣↣↣↣↣↣↣↣↣↣↣↣
প্রোটিন (Protein) :
কার্বন,হাইড্রোজেন,অক্সিজেন এবং নাইট্রোজেন সহযোগে গঠিত অ্যামাইনো অ্যাসিডের একক পেপটাইড বন্ধনী দিয়ে পরস্পর আবদ্ধ হয়ে যে জৈব যৌগ (পলিমার) গঠন করে তাকে প্রোটিন বলে।
উৎস (Source)
উদ্ভিজ্জ উৎস
ডাল
গম
বিন
বিন
সয়াবিন
বরবটি
প্রাণীজ উৎস
- মাছ
- মাংস
- ডিম
- ছানা
- পনির
পুষ্টিগত গুরুত্ব (Importance in nutrition) :
- জীবদেহের বৃদ্ধি ও ক্ষয়পূরণ করা।
- উৎসেচক,হরমোন ইত্যাদি সৃষ্টি করা।
- তাপশক্তি উৎপাদন করা 1 g প্রোটিন দহন হলে 4.1 kcal তাপশক্তি উৎপাদন হয়।
⇝⇝⇝⇝⇝⇝⇝⇝⇝⇝⇝⇝⇝⇝⇝⇝⇝⇝⇝⇝⇝⇝⇝⇝⇝⇝⇝⇝⇝⇝⇝⇝⇝⇝⇝⇝⇝⇝⇝⇝
ফ্যাট বা স্নেহপদার্থ (Fat) :
কার্বন,হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন সহযোগে গঠিত ফ্যাটি অ্যাসিড নামে জৈব অ্যাসিড এবং গ্লিসারল নামে অ্যালকোহল পরস্পর বিক্রিয়া করে যে এস্টার তৈরি হয় তাকে ফ্যাট বা লিপিড বলে।উৎস (Source)
উদ্ভিজ্জ উৎস প্রাণীজ উৎস
সরষে ঘিবাদাম মাখন
নারকেল চর্বি
তিল
রেড়ি বীজ
পুষ্টিগত গুরুত্ব (Importance in nutrition) :
- প্রাণীদেহে তাপশক্তি উৎপাদন করা ফ্যাটের প্রধান কাজ ; 1 g ফ্যাট দহন হলে 9.3 kcal তাপশক্তি উৎপাদন হয়।
- A,D,E,K ভিটামিনকে দ্রবীভুত রাখা।
- প্রাণীদেহে চর্বি বা মেদরূপে সঞ্চিত থেকে তাপ নিয়ন্ত্রন করা এবং ভবিষ্যতে খাদ্যের উৎস হিসাবে কাজ করা।
কার্বোহাইড্রেট,প্রোটিন ও ফ্যাটের পার্থক্য :
বিষয়
শর্করা
প্রোটিন
ফ্যাট
উৎস
শর্করার প্রধান উৎস হলো উদ্ভিজ্জ খাদ্য যেমন---- আলু,আটা,চিনি,গুড় ইত্যাদি।
প্রোটিনের প্রধান উৎস হল প্রাণীজ খাদ্য,যেমন---ছানা,মাছ,মাংস,ডিম ইত্যাদি।তবে
ডাল ও সয়াবিনেও প্রোটিন থাকে।
ফ্যাটের উৎস উদ্ভিজ্জ ও প্রাণীজ,যেমন---বাদাম,নারকেল,ঘি,মাখন,চর্বি ইত্যাদি।
উপাদান
কার্বন,হাইড্রোজেন,ও অক্সিজেন।
কার্বন,হাইড্রোজেন,অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন।
কার্বন,হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন।
হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন অনুপাত
2:1 অনুপাতে থাকে।
এই অনুপাতে থাকে না।
এই অনুপাতে থাকে না।
প্রধান কাজ
তাপশক্তি উৎপাদন
দেহকোশ গঠন ও ক্ষয়পূরণ
তাপশক্তি উৎপাদন
তাপন মূল্য
এক গ্রাম শর্করা দহন হলে 4.0 kcal তাপশক্তি উৎপন্ন হয়।
এক গ্রাম প্রোটিন দহন হলে 4.1 kcal তাপশক্তি উৎপন্ন হয়।
এক গ্রাম ফ্যাট দহন হলে 9.3 kcal তাপশক্তি উৎপন্ন হয়।
প্রোটিনের প্রধান উৎস হল প্রাণীজ খাদ্য,যেমন---ছানা,মাছ,মাংস,ডিম ইত্যাদি।তবে
ডাল ও সয়াবিনেও প্রোটিন থাকে।
|
ফ্যাটের উৎস উদ্ভিজ্জ ও প্রাণীজ,যেমন---বাদাম,নারকেল,ঘি,মাখন,চর্বি ইত্যাদি।
| ||
কার্বন,হাইড্রোজেন,ও অক্সিজেন।
|
কার্বন,হাইড্রোজেন,অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন।
|
কার্বন,হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন।
| |
হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন অনুপাত
|
2:1 অনুপাতে থাকে।
|
এই অনুপাতে থাকে না।
| |
প্রধান কাজ
|
তাপশক্তি উৎপাদন
|
দেহকোশ গঠন ও ক্ষয়পূরণ
|
তাপশক্তি উৎপাদন
|
তাপন মূল্য
|
এক গ্রাম শর্করা দহন হলে 4.0 kcal তাপশক্তি উৎপন্ন হয়।
|
এক গ্রাম প্রোটিন দহন হলে 4.1 kcal তাপশক্তি উৎপন্ন হয়।
|
এক গ্রাম ফ্যাট দহন হলে 9.3 kcal তাপশক্তি উৎপন্ন হয়।
|
Comment
আশা করি তুমি “খাদ্যের প্রকারভেদ” সমদ্ধে পড়ে নিশ্চই অনেক কিছু সুন্দর তথ্য সম্পর্কে জানতে পেরেছো । পোস্টটা ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই একটু Comment করে তোমার মতামত আমাদের জানিও । তোমার মূল্যবান মতামত আমাদের বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগাতে ভীষনভাবে সাহায্য করে ।
এতক্ষণ সময় দিয়ে পড়ার জন্যে তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই https://bengalinews48.blogspot.com/-এর পক্ষ থেকে ।
0 comments:
Post a Comment